বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গননায় জালিয়তির অভিযোগ এনে ও ভোট পুনঃগননার দাবী জানিয়ে গঠিত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও সিনিয়র সহকারি জজ আদালত সদর কক্সবাজারে মামলা ১২/২০২২ দায়ের করেন ঢেমুশিয়া ইউপির ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার পদপ্রার্থী সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আরজ খাতুন।
এতে বিবাদী করা হয়েছে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার, রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৩জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও বিজয়ী দেখানো ইউপি সদস্যা নুরুন্নাহার বেগম মুন্নীসহ ১২জনকে।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ভোট পুণঃগণনার নির্দেশনা দেন।
মামলার আর্জি সূত্রে জানায়, বিগত ২৮নভেম্বর’২১ ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে ভোট গননাকালে বিপুল ভোটে বিজয়ী প্রার্থী তিনবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্যা আরজ খাতুনের কলম প্রতীকের ব্যালেট প্রতিপক্ষ প্রার্থী নুরুন্নাহার বেগমের ক্যামরা প্রতীকে দেখিয়ে জালিয়তির মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে।
ভোট গননাকালে কলম প্রতীকের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এবং ভোট গননাকালে থাকতে দেয়া হয়নি। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এরপরও গত ১২ডিসেম্বর নির্বাচনী গেজেট প্রকাশ হলে প্রার্থী সংক্ষুদ্ধ হয়ে উক্ত ৩টি ওয়ার্ডের কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবীতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ২০ জানুয়ারি এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভোট পূণঃগণনার নির্দেশনা দেন।
প্রথম আদেশে আগামী ১৫মার্চ’২২ এর মধ্যে ব্যালেট পেপারের সীলযুক্ত গানিব্যাগ তলব করেন। উক্ত সময়ের মধ্যে ব্যালট পরিবর্তন সহ নানাবিধ আশঙ্খা প্রকাশ করায় বাদী আরো দ্রুত সময়ে গানিব্যাগ তলব করার আবেদন করলে ২৭ জানুয়ারি আদালত উক্ত আবেদনটি আমলে নিয়ে পূর্বের আদেশ বাতিল করে চলতি ৩১জানুয়ারী’২২ ইং এর মধ্যে সীলযুক্ত গানিব্যাগ তলবের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনে দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেনজির আহমদ বলেন, আদালতের দুইটি আদেশের বিষয়ে অবগত হয়েছি। আমি যেহেতু বদলী হয়ে অন্য ষ্টেশনে চলে এসেছি, তাই আদালতের আদেশের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলে দেয়া হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আদালতের পূর্বের আদেশটি হাতে পেয়েছি। পরবর্তী আদেশটি এখনো হাতে পাইনি। বৃহস্পতিবার অফিস টাইমের পর আসায় আদেশটি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ৩০জানুয়ারী সকালে আদেশটি হাতে পেলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।