বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রবাসী ভাইয়ের বসতভিটা দখল করে জোর পূর্বক অবৈধ পেশীশক্তি ব্যবহার করে সীমানা দেওয়াল নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আপন সহোদর নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে।গত কয়েকদিন আগে সাংবাদিকগণ সরেজমিনে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই পূর্বক তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশন করার পর অন্য সংবাদকর্মীদের ভূল বুঝিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ হিসেবে নাছির উদ্দীনের পরিবারের পক্ষ থেকে ভুয়া, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত করে প্রতিবাদ দিয়েছে বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায়।
প্রবাসী সেলিমের ক্রয়কৃত জমি নিয়ে অপর ভাই নাছির দখলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে চকরিয়া পৌরসভা ও থানায় দপায় দপায় বৈঠক হয়।
পৌরসভার সার্ভেয়ার দিয়ে সেলিমের ক্রয়কৃত ১১ কড়া জমি পরিমাপ করে তার ৮ কড়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে এবং বাকি ৩ কড়া সীমানা দেওয়াল দেওয়ার জন্য রেখে দেন।সেলিম দীর্ঘ দিন বিদেশ থাকার সুবাদে লোভের কারণে তার বাকী জায়গাটি দখলে নিতে স্ত্রী, সন্তানদেরকে নির্যাতন করছে তার ভাইয়ের পরিবার।অথচ উল্টো তার পরিবারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ভাইদের দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ করাচ্ছে।প্রবাসী সেলিমের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।তাই প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
উল্লেখ্য যে, ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী বেবি আক্তারের চকরিয়া থানার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বাদীর স্বামী সেলিম উল্লাহ এর নামীয় চিরিঙ্গা মৌজার বিএস খতিয়ান নং ১৪৩৭ এর ৪৩ নং দাগের ০৩.৬৭ শতক জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে থেকে ২২৪৯ নং খতিয়ান সৃজন করে বসত ভিটে করে ভোগদখলে আছেন।
বাদীর উক্ত জায়গায় বিবাদীগণ অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পেশিশক্তি ব্যবহার করে জোর পূর্বক সীমানা দেওয়াল নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবাদীগণের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি চলমান থাকায় ইতোপূর্বে বাদী আইনের আশ্রয় নিতে আদালতে ১৪৩৩/২০ নং এমআর মামলা দায়ের করেন।
যাহা বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার(ভুমি)চকরিয়া বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণে নিমিত্তে প্রেরণ করেন। উক্ত মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ঘটনার দিন বিবাদীগণ আদালতের নিষিদ্ধজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ায় বাদী বাঁধা প্রদান করলে আসামীরা হাঁকাবাকা পূর্বক মারধর করতে থাকে বাদীকে।
এ সময় বাদী থানায় অভিযোগ করলে চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নিষেধ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ ওসমান গনি জানান, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা থাকায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।