বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া বিএমচর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড কৃষ্ণাপুর গ্রামের বাসিন্দা অলি উল্লাহর পূত্র মোজাম্মেল হকের পৈতৃক জমি দখলে নিতে হামলা ও ভাংচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মৃত রাজার মিয়ার পূত্র হেফাজতুর রহমান গং এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে হেফাজতুর রহমান সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত রেখে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মা কতৃক দাদার কাজ থেকে দান রেজিঃ দলিল নং ৭২৪ মূলে স্বত্ব দখলীয় জমির মালিক তার মা।তিনি দীর্ঘ বছর যাবৎ বিভিন্ন প্রজাতির বনজ-ফলজ গাছপালা ও শাক সবজি চাষাবাদ পূর্বক ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভোগদখলে আছে।
উক্ত জায়গায় আসামী পক্ষের কোন দখল স্বত্ব না থাকা স্বত্তেও হাকাঁবকা ও হুমকি প্রদর্শনের কারণে বাদী আসামীদের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চকরিয়ায় ডায়েরী নং ১৬৭/২২ রুজু করেন।
ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত ১৭ এপ্রিল রাতে আসামীগণ অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে বাদীর ক্ষেত ও বসতঘরে হামলা করে টেংরা বেড়া ও ক্ষেতের বিভিন্ন ফলজ গাছ কেটে ফেলে কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করে এবং আসামী কতৃক অদ্যাবদী গালি গালাজ করতঃ প্রাণে হত্যার ভয়ভীতি প্রদশর্ন অব্যহত থাকায় বাদী পক্ষ পরিবার পরিজন নিয়ে প্রাণের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত আছে।
এ বিষয়ে মাতামুহুরি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল জব্বার জানান,বাপদাদার সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলমান আছে বলে জানি,তবে এজাহারের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে ঈদের পরে স্থানীয় সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে সামাধানের চেষ্টা করা হবে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু সামাধানে কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভুগী পরিবার।